1. [email protected] : admi2017 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন

হজ পরিচিতি ও প্রকারভেদ

  • আপডেট সময়: সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮
  • ৭৪৮ বার

বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সেতুবন্ধনের উপায় হলো হজ পালন করা। যাঁদের আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য রয়েছে, হজ তাঁদের জন্য ফরজ ইবাদত। এই ফরজ ইবাদত পালনের উদ্দেশ্যে হাজিদের প্রথম কাজ হলো ইহরাম বাঁধা। ইহরাম বাঁধার পরই তিনবার তালবিয়া পাঠ করতে হয়, ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক; লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ ‘আমি হাজির তব সন্নিধানে, হে আল্লাহ! আমি হাজির তব দ্বারে; আমি হাজির তোমার দরজায়, তোমার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির তোমার দরগায়। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও সব নিয়ামত তোমারই, আর তোমার রাজ্যে তোমার কোনো অংশীদার নেই।’ এই হলো ‘তালবিয়া’, অর্থাৎ কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে উপস্থিতির আকুতিপূর্ণ বিনীত ঘোষণা।

হজের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ
হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা, সফর, ভ্রমণ করা। ইসলামি পরিভাষায় হজ হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা হারাম মাসগুলো তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত ৫ দিন। হজের নির্ধারিত স্থান হলো: মক্কা শরিফে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং মদিনা শরিফে রাসুল (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা। হজের বিশেষ আমল বা কর্মকাণ্ড হলো: ইহরাম, তাওয়াফ ও সাই, অকুফে আরাফা, অকুফে মুজদালিফা, অকুফে মিনা, দম ও কোরবানি, হলক ও কছর এবং জিয়ারতে মদিনা-রওজাতুন রাসুল (সা.) ইত্যাদি। আফাকি তথা দূরবর্তী হাজিদের জন্য মদিনা মুনাওয়ারায় রাসুল (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা ওয়াজিব। (আসান ফিকাহ, ইউসুফ ইসলাহি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৫১)।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ