ডিজিটাল লেনদেন (ক্যাশলেস) বাড়ানোর ফলে ভারতে ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে দেশটির রাজস্ব আয়। অন্যদিকে কমেছে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন। ফলে গোটা ভারতের অর্থনীতিতে একধরনের আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে ক্যাশলেস লেনদেন।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মাইক্রো ইকোনমিতে ভারত সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও সাফল্যের বিষয়ে বক্তব্যে দেশটির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, ভারতের ৪২ শতাংশ লোক ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে ছিল। যার বেশিরভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ। তাই পরবর্তীতে আমরা ডিজিটাল লেনদেনের ওপর জোর দেই এবং জনগণকে উৎসাহিত করি। ফলে নতুন করে ৩০ কোটি লোক ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় আসে। বর্তমানে ৭০ শতাংশ লোক ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে। যার প্রধান কারণ ক্যাশলেস লেনদেন।
তিনি আরও বলেন, অতীতে গ্রাহকরা ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরত। কিন্তু এখন ক্যাশলেস লেনদেশ শুরু হওয়ায় ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে যাচ্ছে। এছাড়া ডিজিটাল পেমেন্ট চালুর ফলে ভারতে বেনামি ঋণের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
অরুণ জেটলি বলেন, গত বছর সরকার জনগণের হাতে থাকা নগদ অর্থ ব্যাংকে জমা দিতে বলে। ফলে বাজারে নগদ অর্থের প্রবাহ কমে যায়। একই সঙ্গে ব্যক্তিপর্যায়ে কার কত অর্থ আছে সে তথ্য সরকারে হাতে চলে আসে। ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়ছে। কমেছে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন। আর এসব উদ্যোগের কারণে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) নির্ণয় সহজ ও সঠিক হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ সময় বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দুর্নীতি কমে। এ প্রযুক্তির ব্যবহার যতই বাড়বে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে সময় ও খরচ তত কমবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ও সিলেটে ভারতে ই-ভিসা অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনসহ এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বাংলাদেশে শাখা চালু করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযু্ক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলাসহ দুই দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।