হিথ্রো বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তার নাম জেবা খান। তিনি হিথ্রো (যুক্তরাজ্য) বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ট্রাফিক সুপারভাইজার পদে প্রায় দুই যুগ ধরে কর্মরত রয়েছেন।
লন্ডনে বিমানের স্টেশন ও কান্ট্রি ম্যানেজার এমনকি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গুড বুকে চৌকশ ও বিমানের জন্যে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে পরিচিত থাকলেও ভুক্তভোগী জেবা খানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে কুচক্রীমহল। তিলকে তাল বানানোর চেষ্টা করে ও গণমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা আর বানোয়াট তথ্য দিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
জানা গেছে, গত বছরের ২৯ জুন হিথ্রো বিমানবন্দরে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমানের বিজি-০০১ ফ্লাইটের এক যাত্রীর কাছে তার এক নিকট আত্মীয় ঈদের উপহার হিসেবে দেড় কেজি ওজনের একটি আমের ব্যাগ দেন। সেটি হাতে নিয়ে জেবা খান ভুলবশত ‘রং জোনো’ হয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করছিলেন। এ সময় হিথ্রো এয়ারপোর্ট অথরিটি লিমিটেড (হাল) এর সিকিউরিটির কর্মকর্তারা তাকে সতর্ক করার জন্যে নিয়ম অনুযায়ী তার ডিউটি পাশ এর ডাটা এন্ট্রি করে রাখেন। এবং তার বিরুদ্ধে অতীতে কোনো ধরনের অভিযোগ না থাকায় ও ভবিষ্যতে রং-জোন হয়ে না হাটার পরামর্শ দিয়ে পাশ ফেরত দেন।
জেবা খানের দাবি, প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে এবং আমার সুনাম নষ্টের উদ্দেশ্যে একটি মহল গণমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। এরা কখনো বিমানের সুনাম চায় না।
তিনি আরও বলেন, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য পরিবারের সন্তান হলেও আমাকে পাকিস্তানি বানানোর হীন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন কুচক্রীরা। মহলটি আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হাস্যকর কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লন্ডনের কান্ট্রি ম্যনেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, হিথ্রো’তে জেবা খান একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা। তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে বিমানে কর্মরত। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা অনুচিত।
হিথ্রো স্টেশন ম্যানেজার এ জেড এম আব্দুল্লাহ জাফর বলেন, জেবা খানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। গণমাধ্যম কর্মীদের যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। তিনি সদা হাস্যোজ্জল ও বিমানের জন্যে একজন নিবেদিত প্রাণের মানুষ। কারো বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলেন না।
একই কথা বললেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সবার উচিৎ সাদাকে সাদা বলা একইভাবে কালোকে কালো বলা। অনেকদিন লন্ডন প্রবাসী হওয়ায় বিমানের যে কোনো সমস্যা সমাধান জেবা খানের জন্যে অনেকটা সহজ। হিথ্রো’তে বিমানের অনেক জটিল সমস্যা সমাধানে তিনি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। লন্ডনের লোকাল স্টাফ হিসেবে বিমানে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছেন জেবা খান। তাকে বিমানের জন্যে আশীর্বাদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, লন্ডন স্টেশনে বিমানের অনেক প্রয়োজনে যোদ্ধার ভূমিকায় থাকেন জেবা খান।
Leave a Reply