1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : test test : test test
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন

অযত্ন অবহেলায় স্মৃতিসৌধ ও স্তম্ভ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ১০১১ বার পঠিত

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে অনেক লোক প্রাণ হারান। এ সময় দেশে স্বাধীনতার জন্য শত্রুর সঙ্গে সামনাসামনি যুদ্ধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। অথচ তাঁদের জন্য নির্মিত স্মৃতিসৌধ ও স্মৃতিস্তম্ভ পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে প্রতিদিন শমশেরনগরের লোকজন পাকিস্তানি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে মিছিল ও সভা করতে থাকেন। এ খবরটি স্থানীয় মুসলিম লীগের নেতা আরিফ মুন্সী ও তাঁর অনুসারীদের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্তাদের কাছে পৌঁছে যায়। ২৭ মার্চ তারা শমশেরনগরের ৮০ বছর বয়সী জাদুশিল্পী সিরাজুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে। এতে শমশেরনগরের লোকজন মারমুখী হয়ে ওঠেন। ২৮ মার্চ প্রথম শমশেরনগরে পরিকল্পিত অভিযান চালিয়ে ক্যাপ্টেন গোলাম রসুলসহ হানাদার বাহিনীর নয় সদস্যকে হত্যা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারপর থেকে হানাদার বাহিনী স্থানীয় ডাকবাংলোয় ক্যাম্প স্থাপন করে সেখানে স্থানীয় লোকজনকে ধরে এনে নির্যাতনের পর শমশেরনগর বিমানবন্দরের রানওয়ের উত্তর-পশ্চিম কোণের বধ্যভূমিতে গুলি করে হত্যা করে। তা ছাড়া টানা নয় মাস শমশেরনগরের কয়েকটি স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সামনাসামনি যুদ্ধ হয়েছিল। এতে হানাদার বাহিনীর অনেক সদস্য নিহত হয়।

সম্প্রতি শমশেরনগর বধ্যভূমি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের ফটকে তালা ঝুলে আছে। পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ঝোপঝাড়ে ভরা। সামনে বাঁশঝাড়ের আগাছা ফেলে প্রবেশপথ বন্ধ রাখা আছে। ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান এই স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেছিলেন। এর পাশেই ২০১২-১৩ অর্থবছরে নির্মিত হয়েছে শমশেরনগর সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ। স্মৃতিসৌধ ও সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ দুটিই নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ।

মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টরের কমলপুর সাবসেক্টরের সাব-কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শমশেরনগর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ ও সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ দুটিই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি আরও বলেন, শমশেরনগর বাজার থেকে কিছু দূরে ও নির্জন স্থানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হওয়ায় এখানে দায়িত্বের অবহেলা হচ্ছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, বধ্যভূমি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2018 NewsFreash
Theme Developed BY ThemesBazar.Com