শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

ত্রিনিত্রির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল অন্বেষা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৪৮৩ বার
ফাইল ছবি

স্বাবলম্বী হওয়ার প্রচেষ্টায় কোনো অংশে পিছিয়ে নেই নারী। পড়াশোনার পাশাপাশি অনেকে বেছে নিচ্ছেন অনলাইন মাধ্যম। অনলাইনে উদ্যোক্তাদের এই এগিয়ে চলা সবার কাছে সাড়া পাচ্ছে ২০১১ সাল থেকে। তেমনই এক উদ্যোক্তা সম্পর্কে জানাচ্ছেন ইফ্ফাত আরা মুনিয়া

 

বাসায় বসে অনেক নারী স্ব-স্ব প্রতিভায় এগিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের কাজ। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেদের ফ্যাশন ডিজাইনে নতুনত্ব এনে বাংলা সংস্কৃতির আবহমানতা বজায় রেখে নানা কারুকার্যে তৈরি করে যাচ্ছেন শাড়ি, গয়না, আংটি, ব্রেসলেটসহ নিত্যনতুন অলঙ্কার। শুধু সময় কাটানোর তাগিদেই নয়, অনেকটা আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রেও অবদান রেখে চলেছেন।

 

তেমনই একজন অন্বেষা দত্ত। পড়ছেন ফার্মাসি নিয়ে। সামনে এম.ফার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দেবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার নাম ‘ত্রিনিত্রি’। ত্রিনিত্রির শুরুটা কেমন ছিল জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আঁকতে। আঁকাআঁকি মানসিক প্রশান্তি দেয় ভীষণ। বিশেষ করে, ফেলে দেওয়া জিনিসের রিসাইকেলিং করতে খুব ভালো লাগে। আর্ট আর ক্রাফটের প্রতি ভালোবাসাকে পুঁজি করে আমি একপ্রকার জেদ করেই ত্রিনিত্রির যাত্রা শুরু করি।’

 

শুরুর দিকের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে অন্বেষা বলেন, ‘যদিও এর যাত্রা পথটা খুব একটা অনুকূল ছিল না। আর্ট নিয়ে কিছু করার ব্যাপারে প্রথমে পরিবারের সমর্থন ছিল না মোটেও। তারা চাইতো আমি শুধু পড়াশোনায় মনোযোগ দেই। আর সবার মতো নিজের ক্যারিয়ার গড়ি!’

 

ত্রিনিত্রি প্রতিষ্ঠার পেছনে উৎসাহ বা অনুপ্রেরণা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে ত্রিনিত্রি শুরু করার সময় আমি কারো অনুপ্রেরণা পাইনি। কেউ হয়তো ভাবেনি তখন, এ রকম উদ্যোগ নেওয়াটা ভালো কিছু। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে আমার নেশাকে পেশা বানানোর যাত্রা শুরু করি।’

 

এখন পরিবার কী ভাবছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অন্বেষা বলেন, ‘শুরুতে পরিবারের সমর্থন তেমন না পেলেও মা আর বাবা এখন অনেক উৎসাহ দেন। আর মা তো সব কেনাকাটার নিত্যসঙ্গী। পাশাপাশি বন্ধু কুমারজিৎও সহায়তা করে থাকে অনেকাংশে।’

 

ত্রিনিত্রিতে মূলত কোন কাঠের ওপর ফুটিয়ে তোলা হয় বিভিন্ন গল্প, কাহিনি, অবয়ব। কাঠের গয়নাগুলো সবাই খুব পছন্দ করছে শুরু থেকেই। লোকজ, ট্রাইবাল কাজ ফুটিয়ে তোলা হয় কাঠের লকেট, আংটি এবং কানের দুলে। অন্বেষা বলেন, ‘শুরু থেকে সবাই এতো পছন্দ করে আসছে যে, কাঠের গয়না বানানো নেশার মতো হয়ে গেল। সাথে সাথে করলাম পোশাকের ওপর হ্যান্ডপেইন্ট। এছাড়া কাঠের পাশাপাশি জার্মান সিলভার আর দেশীয় কড়ি পুতি দিয়ে করা হয় গয়নাগাটি। এরমধ্যে কিছু কাঠের আংটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সেগুলোর মধ্যে নীল নয়নতারা, ফুলছবি, ফুলেল উল্লেখযোগ্য।’

 

ত্রিনিত্রি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক বড় একটি প্রতিষ্ঠান হবে। কাঠের গয়নাকে বাংলাদেশে এবং বাইরেও পরিচিতি দেওয়ার বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম করে তোলা হবে ত্রিনিত্রিকে। স্বপ্ন দেখি, একদিন ব্র্যান্ড হবে ত্রিনিত্রি আর সবাই একনামে চিনবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..