1. [email protected] : admi2017 :
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

  • আপডেট ৩ সেকেন্ড আগে

কালভার্ট-সড়ক ভেঙে গেছে, পানিবন্দী ২ হাজার মানুষ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮
  • ৬০৫ বার

উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় গত দুই দিনে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদী তীরবর্তী ১৪টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের পাঁচ শ পরিবারের প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে সড়ক ও কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কয়েকটি গ্রামের।

আজ বুধবার বন্যাকবলিত এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ বুধবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার আলমবিদিতর, লক্ষ্মীটারী, কোলকোন্দ, নোহালী ও গজঘণ্টা—এই পাঁচ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চরইশরকুল, ইছলি, পূর্ব ইছলি, পশ্চিম ইছলি ও শংকরদহ পাঁচটি গ্রামের ১৫০ পরিবারের প্রায় ৬০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পশ্চিম ইছলি গ্রামের সড়ক, কালভার্ট ও ইট বিছানো রাস্তা ভেঙে গেছে। এতে সেখানকার পানিবন্দী লোকজন চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

পানিবন্দী পশ্চিম ইছলি এলাকার কৃষক হোসেন আলীর তিনটি টিনের ঘর ইতিমধ্যে পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, ‘কিছু জিনিস সরাবার পারলেও অনেক মালামাল পানিত ভাসি গেইছে। এখন পরিবারের ছয়জন সদস্য নিয়া বড় অসহায় হয়া পড়ছি।’

পানিবন্দী এলাকার কৃষক মহির উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তা ভাঙি যাওয়ায় খুব কষ্ট হইছে। অনেক দূরের পথ ঘুরিয়া যাওয়া-আসা করা লাগতোছে।’ লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল হাদী বলেন, ‘মানুষজন ঘরবাড়ি ছাড়ি শুকনো জায়গায় আশ্রয় নিতে চেষ্টা করছেন। তবে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে।’

এদিকে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, উত্তর চিলাখাল, সাউথপাড়া, মটুকপুরসহ চার গ্রামের কমপক্ষে ১০০ পরিবারের প্রায় ৫০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে শুকনো স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ইউনিয়নটির বন্যাকবলিত বিনবিনা এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এর আগোত বন্যা হইলেও হামারগুলার জায়গা শুকনা ছিল। গত মঙ্গলবার সকাল থাকি হঠাৎ পানি আসা শুরু হইল। ঘর-বাড়িত পানি উঠিল। চকির ওপর বসি থাকা লাগে।’

একই এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘর দুয়ারোত পানি উঠিয়া খুব বিপদোত আছি। রাস্তাও ডুবি গেইছে। ঘরের মালামাল ছাড়িয়া যাবার পাইছি না।’ কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব আলী প্রথম আলোকে বলেন, পানিবন্দী মানুষজনের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্য বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, মহিষাসুর, রমাকান্ত, আলালচর, জয়দেব এলাকায় প্রায় ১৫০ পরিবারের প্রায় ৪৫০ জন এবং নোহালী ও আলমবিদিতর এই দুই ইউনিয়নে ১০০ পরিবারের প্রায় ৪০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ এনামুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, আজ সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখেছি। বন্যাকবলিত এলাকার প্রতিবেদন তৈরি করতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© All rights reserved 2018 Top-News
Design & Developed BY ThemesBazar.Com