সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই যুবরাজ প্রতেবিশি রাষ্ট্র কাতারের সম্পদ লুট করে নিতে চায় বলে দাবি করেছেন কাতারের রাজ পরিবারের সদস্য শেখ আব্দুল্লাহ আল-থানি। রাজ পরিবারের এই সদস্য আমিরাতে কয়েকদিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শুক্রবার এক অডিও বার্তায় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
কুয়েতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাতার রাজ পরিবারের এই সদস্যের অডিও বার্তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অডিও বার্তায় তিনি সৌদি ও আমিরাতের দুই যুবরাজ কাতারে নাশকতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘তারা কাতারের সম্পদ হাতিয়ে নিতে চায়।’
১৫ জানুয়ারি ধারণকৃত ওই অডিও বার্তা শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে শেখ আব্দুল্লাহ আল-থানি বলেন, ‘চাপের মুখে ও অবরুদ্ধ করে রাখায় আমি দেশে ফিরতে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে পারি নাই। তবে দুই মেয়ের জন্য হলেও অন্যের ক্ষতি ঠেকাতে আমার জীবন উৎসর্গ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অডিও বার্তায় তিনি সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। একই সঙ্গে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের অবসানের জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমরা এক জাতি।’
কুয়েতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, আবু ধাবিতে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার গত মঙ্গলবার কুয়েতে পৌঁছান কাতারের রাজ পরিবারের এই সদস্য। এছাড়া হজে কাতারের নাগরিকদের অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের প্রশংসা করেছেন আল-থানি। তবে সৌদি বাদশাহর ছেলে ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘ধূর্তবাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আল-থানি বলেছেন, ‘কাতারের ধন-সম্পত্তি ছিনিয়ে নিতে মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও মোহাম্মদ বিন সালমানের গোপন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই উপসাগরীয় সঙ্কট তৈরি করা হয়েছে।’
‘আমি কাতারের জনগণকে তাদের অবস্থান সুরক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি, তাদের থেকে সতর্ক থাকুন। তারা আপনার দেশকে ধ্বংস করার জন্য অর্থের প্রলোভন দেখাতে পারে।’
Leave a Reply