1. [email protected] : admi2017 :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন

ওসির কাছে চাঁদা দাবি!

  • আপডেট সময়: সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮
  • ৬৩০ বার

ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে চাঁদা চাইতে গিয়ে আটক হয়েছেন ছাত্রলীগের চার নেতা। তাঁদের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁদের ডিবির হাতে তুলে দেয় নান্দাইল থানা-পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, নান্দাইল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়ার কাছে গতকাল শনিবার সকালে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে ২০ হাজার চাঁদা চান ছাত্রলীগের চার নেতা। ওই সময় তাঁদের আটক করা হয়। পরে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে চারজনকে নিজেদের কার্যালয়ে নিয়ে যান জেলা ডিবির সদস্যরা।
আটক চার নেতা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রাজু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হাসান ওরফে রয়েল, পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি টিটু চন্দ্র দে এবং কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাখের হোসেন সিদ্দিকী চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজে ঘটনাটি তদারক করছেন।
ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, বেলা বেলা ১১টার দিকে ওই চারজন তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশ করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ওরফে ফয়সালের কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি ওই নেতাকে চেনেন না এবং তাঁর (ওসি) সঙ্গে ওই নেতার কোনো লেনদেন নেই বলে জানান। ওসির এ মন্তব্যে ছাত্রলীগের ওই চার নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওসিকে নানা ধরনের কটূক্তি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ওয়াহিদুল আলমকে থানায় নিয়ে আসার জন্য বলেন ওসি। কিন্তু সেটা না মেনে তাঁদের হাতেই টাকা তুলে দেওয়ার জন্য ওসিকে চাপাচাপি করতে থাকেন ওই চারজন।
পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া। প্রত্যক্ষদর্শীদের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের ওই চার নেতা ওসির কক্ষে আসার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে নান্দাইল থানায় আসে। ডিবির দলটি ওসির কক্ষ থেকে ছাত্রলীগের চার নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে দ্রুত জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এর আগে চার নেতা আটক হওয়ার খবর শুনে সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা থানায় এসে তাঁদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করে নান্দাইল শহরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইলে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। ফলে চার নেতা আটকের ঘটনা প্রসঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নান্দাইল থানার ওসি বলেন, থানায় প্রবেশ করে চাঁদাবাজির চেষ্টা ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ