বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। রোববার এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার।
ঢাকা চেম্বার বলছে, আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে ছয়টি বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ২৫ সেপ্টেম্বর গণশুনানি শুরু হচ্ছে। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিসমূহের প্রস্তাবিত পুনরায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ খুচরা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ৯ টাকা ১৬ পয়সা থেকে ১০ টাকা, বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৯৮ পয়সা, বৃহৎ শিল্পকারখানার ক্ষেত্রে ৯ টাকা ৫২ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৩২ পয়সা এবং গৃহস্থালিতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে ৬ টাকা ১০ পয়সা হারে বৃদ্ধি পাবে।
এ মুহূর্তে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি না করে বরং সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, সিস্টেমলস আরও হ্রাস করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রমে বেসরকারি খাতকে অধিক পরিমাণে অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় ডিসিসিআই।
ডিসিসিআই মনে করে, বিদ্যুতের পুনরায় মূল্যবৃদ্ধি হলে উৎপাদনমুখী শিল্প বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, স্টিল রি-রোলিং, টেক্সটাইল খাতে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। যদি আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয় তাহলে প্রতিযোগী মূল্যে শিল্প উৎপাদন সক্ষমতা ব্যাহত হবে।
এছাড়া বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পসমূহ, রফতানি সক্ষমতা, শিল্প বহুমুখীকরণ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে দেশের ক্রমবিকাশমান এসএমই খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। বিদ্যুতের পুনরায় মূল্যবৃদ্ধি স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং সর্বোপরি মূল্যস্ফীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ঢাকা চেম্বার সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে বিদ্যুতের ট্যারিফ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে একটি ‘জ্বালানি মনিটরিং কমিটি’ গঠনসহ দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
Leave a Reply