টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, ময়নাতদন্তের সময় সংরক্ষিত রুপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর প্রতিবেদন আগামী দু-একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
এদিকে মামলার তদন্তও প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রেফতার ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীর (৫৫) বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর তিন ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ, ২০১ ধারায় মরদেহ গুমের অভিযোগ এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হচ্ছে অভিযোগপত্রে। অভিযোগপত্রে ২০ থেকে ২২ জনকে সাক্ষী করা হচ্ছে। এদের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ ৫-৬ জন সরকারি কর্মকর্তা থাকছেন।
Leave a Reply