বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, সীমান্তে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় মিয়ানমার। তাদের হেলিকপ্টার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বারবার। একটা দেশ এটা করতে পারে না। এসব মোকাবেলায় বিজিবির সক্ষমতা থাকলেও ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। কারণ তাদের উন্মাদনায় বিজিবি সাড়া দিলে রোহিঙ্গারা চরম মানবিক সংকটে পড়ত। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সবকিছু ঠান্ডা মাথায় মোকাবেলা করে মানুষ হিসেবে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ-উখিয়ার সীমান্ত ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণ শেষে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তিনি এসব কথা বলে
বিজিবি ডিজি বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের হার কিছুটা কমেছে। আর শান্ত হয়ে আসছে সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতিও। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল কূটনৈতিক তৎপরতায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী নভেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈঠক হতে পারে। বৈঠক সফল হলে রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
শৃঙ্খলা আনতে সেনা-পুলিশ-বিজিবি একসঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে বিজিবি প্রধান বলেন, মিয়ানমার হতে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিজিবি সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তাদের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যাতে সারাদেশে ছড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য তৎপর রয়েছে। তাদের নির্ধারিত স্থানে রাখা ও মানবিক কাজের জন্য বিজিবি অতিরিক্ত সদস্য বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) হতে রোহিঙ্গাদের পানীয় সংকট নিরসনে বিজিবি কাজ শুরু করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন টেকনাফের রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেন। বিকেল ৫টার দিকে তিনি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের রইক্ষ্যং পুঁটিবনিয়া অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমএম আনিসুর রহমান, রামুর রিজিওনাল কমান্ডার কর্নেল রাকিবুল ইসলাম ও টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply