হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুই (সময়ের) দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না; অথবা কমই ফিরিয়ে দেয়া হয়। (এক) আজানের সময়ের দোয়া এবং (দুই) প্রচণ্ড যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের দোয়া; যখন একে অপরকে নিধন করতে থাকে।’ (আবু দাউদ, দারেমি, মিশকাত)
হাদিসের অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘বৃষ্টির নিচের দোয়া অর্থাৎ বৃষ্টির সময়ের দোয়া।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
বৃষ্টি বর্ষণ কিংবা নামাজে আহ্বানের সময়টি আল্লাহর অনেক বড় রহমতের সময়। বৃষ্টি যেমন মানব-দানব, জীব-জন্তু সবার জন্য আসমান থেকে নাজিল হয়। তেমনি আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশে মানুষ আজান শুনার সঙ্গে সঙ্গে রহমত লাভে মসজিদে হাজির হয়।
সুতরাং এ সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার সব আবেদনই কবুল করেন এবং তাঁকে ক্ষমা করেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এ কথাগুলো মাগরিবের আজানের সময় শিখিয়েছেন-
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা হাজা ইক্ববালু লাইলিকা; ওয়া ইদবারু নাহারিকা; ওয়া আসওয়াতু দুআতিকা; ফাগফিরলি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! এটা তোমার রাতের আগমন; দিনের প্রস্থান এবং তোমার আহ্বানকারীদের (মুয়াজ্জিনের) ডাকার সময়। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ (আবু দাউদ, বাইহাকি, মিশকাত)
হাদিসে উল্লেখিত দোয়াটি মাগরিবের সময়ের জন্য নির্ধারিত। বিশেষ করে এ দোয়াটি মাগরিবের আজানের আগে অথবা পরে পড়া যাবে। আবার আজানের জবাব দেয়ার সময় কিংবা আজানের পর দোয়া মুনাজাতের সময়ও পড়া যাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত মাগরিবের সময় উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করার মাধ্যমে নিজেকে গোনাহমুক্ত করার এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Leave a Reply