নাভিতে টিউমার নিয়েই জন্ম হয়েছিল সোহেলের। জন্মের দিনই তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দেড় মাস সেখানে ভর্তি থাকার পর চিকিৎসক ওই সময় বলেছিলেন বড় হওয়ার আগে সোহেলের টিউমার অপারেশন করা। এ কথা শুনেই সোহেল বড় হওয়ার অপেক্ষায় হাসপাতাল থেকে চলে আসেন তার মা-বাবা।
এরপর বড় হতে থাকে শিশু সোহেল। সঙ্গে বড় হতে থাকে তার নাভিতে জড়িয়ে থাকা টিউমারটিও। এখন তার বয়স ১২ বছর। এরই মধ্যে নতুন এক সমস্যা যুক্ত হয়েছে তার শরীরে। সেটি হলো একশিরা। একদিকে নাভিতে টিউমারের যন্ত্রণা, অন্যদিকে একশিরার ব্যথা- সব মিলে খুব কষ্টে দিন কাটছে কিশোর সোহেলের।
শ্রীমঙ্গল শহরের কলেজ রোড (জোড়াপুল সংলগ্ন) এলাকায় বাস করে সোহেলের পরিবার। সে গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
সোহেলের টিউমার অপারেশন করার সময় হয়েছে। কিন্তু জোগাড় হয়নি তার চিকিৎসা ও ওষুধ বাবদ খরচের টাকা।
সোহেলের রিকশাচালক বাবা আনোয়ার আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে সোহেলকে আবারও নিয়ে গেছিলাম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে শামসুদ্দিন নামে এক ডাক্তারকে দেখানো হয়েছে। আগামী মাসের (নভেম্বর) ১৮ তারিখ তিনি অপারেশনের জন্য বলেছেন। এজন্য ওষুধসহ সব কিছু মিলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নাকি খরচ হবে। একই সঙ্গে তার একশিরারও অপারেশন করা হবে।’
তিনি বলেন, সোহেলের বিষয়টি ইতোমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব জেনেছেন। তার পরামর্শে আজ (রোববার) সোহেলকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। সেখানকার মেডিকেল অফিসার সুব্রত দেব জানিয়েছেন, তারা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে করণীয় কি তা আগামী সপ্তাহে জানাবেন।
আনোয়ার আলী বলেন, তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সোহেল বড়। কিন্তু সেই গুরুতর অসুস্থ। বাকি সন্তানরা ভালো আছে। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে যা আয় করি তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে, কিন্তু ছেলের জন্য ওষুধও কিনতে পারি না।
তিনি বলেন, ডাক্তাররা ছেলের অপারেশনের দিনক্ষণ ঠিক করেছেন, কিন্তু চিকিৎসা বাবদ ৫০ হাজার টাকা কোথায় পাব এ চিন্তায় রিকশাও চালাতে পারছি না। কেউ যদি সহযোগিতা করতেন হয়তো ছেলেটি আমার সুস্থ হয়ে উঠত।
সোহেলের ব্যাপারে খোঁজ নিতে সরাসরি কথা বলতে পারেন তার বাবা আনোয়ার আলীর ০১৭৩৯-২১৬০৫২ নম্বরে। আসুন সোহেলের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি
Leave a Reply