বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের দায়িত্ব হাতে নেয়ার পর তার অধীনে ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যই বেশি। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বগুণ নিয়ে তাই প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। তবে কিম্বারলিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে যা হয়ে গেল, সেটা ভাবতে পারেননি কেউই। অন্ততপক্ষে মাশরাফির নেতৃত্বে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ উইকেটের লজ্জার হারটা মানতে পারছেন না তিনি নিজেও। টাইগার দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মনে করছেন, এই ম্যাচে যা হয়েছে সেটা একেবারে ভাবনার বাইরে।
কিম্বারলির উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে, সেটা আগেভাগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। এই উইকেটে ২৭৮ রানের পুঁজি নিয়ে জেতার আশা করা তাই কঠিন। বড় হারের পর দলের ব্যাটসম্যানদের উপর সব দায় চাপিয়ে দেয়া যেতো। কিন্তু উইকেট যেমনই হোক, পৌনে তিনশ রান নিয়েও যে বোলাররা প্রতিপক্ষের গায়ে একবারও আঁচড় ফেলতে পারবেন না, এটা আসলে চিন্তার বিষয়।
মাশরাফি বিন মর্তুজাও ভীষণ চিন্তিত দলের বোলারদের নিয়ে। আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক তো মনে করছেন, ভালো বোলিং করলে এই রান নিয়ে জেতাও সম্ভব ছিল, ‘এই উইকেটে ২৭৮ রান নিয়েও জেতা সম্ভব ছিল, যদি আমরা শুরুতে উইকেট নিতে পারতাম। দুই দিক থেকেই আমরা যদি চাপ তৈরি করতে পারতাম, তাহলে হয়তো সম্ভব হত। এমন উইকেটে জুটি গড়ে বোলিং না করলে উইকেট পাওয়া কঠিন। তবে যা হয়েছে, সেটা একেবারে ভাবনার বাইরে। আমরা একটি উইকেটও ফেলতে পারি নি।’
তবে যা গেছে তা তো অতীত। অতীত নিয়ে পড়া থাকার মানুষ মাশরাফি নন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই উজ্জীবিত করছেন টাইগার দলের ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘আমরা যে বোলিং করেছি, আমি নিশ্চিত সব বোলার চিন্তা করবে এটা নিয়ে। অবশ্যই এই বোলিং তাদের নিজেদের পরিকল্পনায় ছিল না। এখান থেকে অবশ্যই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
দেখা যাক, শেষপর্যন্ত মাশরাফির এই উজ্জীবনী মন্ত্র সতীর্থদের কানে আওয়াজ তুলতে পারে কি না!
Leave a Reply