শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের উচ্চশিক্ষা বিশ্বমানে উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ উচ্চশিক্ষার জন্য একটি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন কমিটি তাদের সুপারিশমালা পেশ করেছে এবং একটি খসড়া পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে।
রোবাবর ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ড্রাফট স্ট্রাটেজিক প্লান ফর হাইয়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ : ২০১৭-২০৩০’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতাধীন ‘হাইয়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের (হেকেপ)’ উদ্যোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উন্মুক্ত ও সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এতে থাকবে। তথ্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের জন্য করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। সকলের পরামর্শগুলো এতে সন্নিবেশিত করা হবে। তিনি অতি দ্রুত লক্ষ্য-নির্ভর একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন পাস হয়েছে। উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা প্রথাগত ধারণার পরিবর্তন চাই। শিক্ষা হবে দক্ষতানির্ভর, যাতে একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত অর্থে মানব সম্পদে পরিণত হতে পারে।
নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য চরম উৎকর্ষ অর্জনের স্থান। জ্ঞান-প্রযুক্তি শুধু আমদানি নয়, রফতানি করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এ লক্ষ্যে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এডুকেশন স্পেশালিস্ট ইয়োকো নাগাশিমা এবং হেকেপ প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত বক্তব্য দেন। খসড়া কৌশলগত পরিকল্পনার ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা। আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
Leave a Reply