একদিন হয়তো পৃথিবীতে কাগজের পত্রিকা থাকবে না

ফাইল ছবি

পৃথিবী ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনলাইন মিডিয়া ও নিউজ পোর্টালগুলো দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এ মাধ্যমকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নীতিমালা তৈরি ও প্রকাশ করতে হবে। শনিবার বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (বোমা) ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে রাজধানীর একটি হোটেলে বক্তারা এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, এমন একদিন আসবে যেদিন পৃথিবীতে কোনো কাগজ থাকবে না। থাকবে শুধু অনলাইন গণমাধ্যম। ইতোমধ্যে দেশের পত্রিকা ও টেলিভিশনগুলো নিজেদের অনলাইন ভার্সন খুলেছে।

তিনি বলেন, অনলাইন মিডিয়া এমন একটি মাধ্যম যেখান থেকে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারা যাচ্ছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই গণমাধ্যমের নীতিমালার প্রয়োজন। এই নীতিমালা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমের নিরাপত্তা সহায়ক ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ড্রাফট শেষ। আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে গেছে। সেটিও দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে আশা করছি।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, অনলাইন গণমাধ্যমের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নীতিমালা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি, দ্রুতই সেসব নীতিমালা পাওয়া যাবে। তবে অনলাইন পোর্টালগুলোকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

এ সময় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিনিয়র রিপোর্টার মোরসালিন নোমানী বলেন, অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর জন্য যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে তা অচিরেই প্রকাশ করা হোক। অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়ে বোমার সাধারণ সম্পাদক একেএম শরিফুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের (অনলাইন গণমাধ্যম) সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন তথ্যমন্ত্রী। টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের এক্সিডিটেশন কার্ড দেয়া হলেও অনলাইন সাংবাদিকদের দেয়া হচ্ছে না। অনলাইনে যাদের কার্ড দেয়া হচ্ছে তারা মন্ত্রীর কাছের লোক।

অনুষ্ঠানে বোমার পক্ষ থেকে ৫ জন সাংবাদিককে সম্মাননা দেয়া হয়। অনলাইন গণমাধ্যমে অনন্য ভূমিকা রাখায় বোমা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আমাদের সময় ডট কমের সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, এনটিভি অনলাইনের হেড অব নিউজ খন্দকার ফখরুদ্দিন আহমেদ জুয়েল, ডেইলি অবজারভার (অনলাইন ভার্সন), সিনিয়র সাংবাদিক মোরসালিন নোমানি।

সাংবাদিকতায় দীর্ঘ ৬০ বছর অবদান রাখায় আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন আবেদ খান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ওমর ফারুক।