মেডিকেল কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ শুনানি মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
প্রথম দিনের শুনানি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করে এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে রিট আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ জাগো নিউজকে জানান, আজ রিটের শুনানি শুরু হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলার কার্যক্রম আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইউনুছ আলী আকন্দ রিট করেন।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, প্রথম বর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) আহ্বান করে ২১ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর প্যারায় বলা হয়, ‘২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।’
রিটে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মেধাতালিকা থেকে ৫ নম্বর কেটে নেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুল চাওয়া হয়। পাশাপাশি ওই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিবাদী রাখা হয়েছে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ফলে আগের বছর পাস করা শিক্ষার্থীদের থেকে ৫ নম্বর কেটে নেয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষানীতিরও পরিপন্থী।’
এ ছাড়া ওই সিদ্ধান্ত ২০১০ সালের বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইনের ৫(৫) ধারার পরিপন্থী- বলেন রিটকারী।
Leave a Reply